প্রেম যে কোনও বাধাই মানে না, এবার তা প্রমাণ করলেন তমলুকের বধূ। স্বামী-সন্তান ছেড়ে, মেয়ের বিয়ের গয়না নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালালেন তিনি। স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী।
তমলুক থানার সনাতনচক এলাকার বাসিন্দা ওই বধূ। কিছুদিন আগে তমলুক-শ্রীরামপুর রোডে একটি হোটেল খোলেন তাঁর স্বামী। দম্পতি মিলেই সেটি চালাতেন। তবে অন্য কাজে মাঝে মধ্যেই বাইয়ে যেতে হত মহিলার স্বামীকে। সেই সময় ওই বধূ একাই হোটেল চালাতেন। শোনা যাচ্ছে, সেই সূত্রেই এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই বধূর। তাঁরও সংসার রয়েছে। অল্প কিছুদিনের আলাপেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
সম্পর্কের বিষয়টা বেশিদিন পরিবারের কাছে আড়াল করতে পারেননি বধূ। কারণ, দিনভর তিনি ব্যস্ত থাকতেন মোবাইলে, যা নিয়ে অশান্তিও হত। সম্প্রতি মহিলার ফোনটি খারাপ হয়ে যায়। সেখানেই মূল সমস্যা। ফোন খারাপ হওয়ার দিনচারেকের মধ্যেই ১০ জুলাই আচমকা উধাও হয়ে যান মহিলা। তবে তিনি খালি হাতে যাননি। নিয়ে গিয়েছেন, নিজের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের জন্য গয়নাও সঙ্গে নিয়েছেন মহিলা। এছাড়াও নিয়েছেন বাড়ির দুটি ভরা লক্ষ্ণীর ভাঁড় ও নগদ টাকা।
ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই মহিলার স্বামী। বধূর ভাসুর বলেন, “ভাইয়ের স্ত্রীর স্বভাব মোটেও ভাল নয়। আগেও পরকীয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। ভাই সেসব মেনেও নিয়েছিল। এখন ছেলেময়ে বড় হয়েছে, এই ঘটনায় ভাই ভেঙে পড়েছে।”
ওই ব্যক্তিই আরও জানান, অন্যের দেড় লক্ষ টাকা মহিলার কাছে রাখা ছিল, সেটাও নিয়ে গিয়েছেন তিনি। বধূর এই কীর্তিতে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক স্থানীয়ারও। তথ্য বলছে, গত দু’মাসের মধ্যে শুধুমাত্র সাউতানচকে তিনজন বধূ প্রেমিকের হাত ধরে সংসার ছেড়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।