প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ১৬:৪২
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ১৬ জুন গণহত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি নির্ধারণ করেছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। একই সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১ জুন ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এই শুনানি বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
গত ১২ মে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই সময়ের গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া আদেশে ওই মামলার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের ওই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য তদন্ত সংস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই মামলার প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। মামলাটি গণতন্ত্র বিরোধী কাজ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে বিচারাধীন।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা উচিত যাতে বিচার কার্যক্রমে সবাই বিশ্বাস রাখতে পারে।
অন্যদিকে, মামলাটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনমত ভিন্নমত পোষণ করছে। এই মামলার বিচারকাজ দেশের মানবাধিকার ও বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ১৬ জুনের শুনানিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিচার প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা সময়ই দেখাবে।