প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ২৩:৫৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ৮২ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন এই খ্যাতিমান আইনবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
রোববার, ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান বিচারক এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা, এক ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন, যারা তার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (২৬ মে) গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা। এতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
এরপর বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় রাবেয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে। সেখানে এলাকাবাসী, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে, তার পৈতৃক বাড়িতে। সেখানে সন্তান-স্বজনরা তাকে শেষবারের মতো বিদায় জানান।
পরবর্তীতে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মর্যাদা প্রদান করা হয়।
শামসুল হুদা মানিক ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকায় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং পরবর্তীতে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। অবসরের পর তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের বিচার ব্যবস্থা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক অভিজ্ঞ অভিভাবককে হারাল। জাতি শ্রদ্ধাভরে তার অবদানের কথা স্মরণ রাখবে।