মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও ঢাকাসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে যে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমে কমে আসায় বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ও ভাপসা গরমের অনুভূতি বেড়েছে। প্রতিদিনই দেশের কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ থাকছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই অবস্থা ঈদের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। ১৭ জুন বা এর পর দেশে বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা ও গরম কমতে পারে।
চলমান কম বৃষ্টিপাত ও ভাপসা গরম পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক—জানতে চাইলে অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মো. বজলুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গত বছরও জুনের তাপমাত্রা বেশি ছিল। অনেক অঞ্চলে ৪০ ডিগ্রির ওপরে এবং রাজশাহীতে ৪১.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছিল।
এ বছরও জুনে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে। মূলত বৃষ্টি কম হওয়ায় ও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বজলুর রশিদ বলেন, বর্ষা নিয়ে আসা মৌসুমি বায়ু এখনো ততটা সক্রিয় হয়নি। বছরের এই সময়টায় বৃষ্টি না হলে স্বভাবতই তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রি থাকবে।
কিন্তু এই সময়ের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জলীয় বাষ্প থাকায় গরমের অনুভূতি অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রি হলেও অনুভূত হয় ৪০ ডিগ্রির মতো।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশজুড়ে বড় পরিসরে বৃষ্টি না হলে চলমান তাপমাত্রা ও গরম কমবে না।
বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের আবহাওয়ার মডেলগুলোতে এখন পর্যন্ত দেখছি, ১৭ বা ১৮ জুনের দিকে গিয়ে বড় পরিসরে বৃষ্টি হতে পারে। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, ঈদের দিন দেশের বড় অংশেই বৃষ্টি হবে।
কিন্তু এটা বদলাতে পারে। দু-এক দিন পর আরো নিশ্চিত করে বলা যাবে ঈদের দিন আসলে কী হবে।’
প্রথম দিকে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি বেশি থাকবে। তারপর পর্যায়ক্রমে পশ্চিম দিকে অর্থাৎ ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়ার দিকে আসতে থাকবে।
সাধারণত পুরো দেশে বর্ষা শুরু হয় জুনের ১৫ তারিখ থেকেই। এবার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৌসুমি বায়ু কিছুটা আগেই চলে এসেছে। এখন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।