গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের পর বাতিল করতে পারবে না জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
হাইকোর্ট এই রায়ে উল্লেখ করেন, গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাব কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তাদের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কোন এখতিয়ার জামুকা’র নেই। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে গেজেট বাতিলের জামুকার নেই। সে কারণেই ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল সিদ্ধান্তটি বাতিল করেন।
২০০৩ সালে সরকার গঠিত একটি ৭ সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ জন মুক্তিযুদ্ধের তালিকা প্রণয়ন করেন। উক্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তীতে ২০০৫ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রিট আবেদনকারী ২২ জন নৌ-কমান্ডোক মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে হিসেবে গেজেটভুক্ত করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা প্রদান করে আসছেন ।
কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ডের কারণে ঐ নৌ-কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আবারো যাচাই-বাছাই এর আওতায় আনা হয় এবং তার প্রেক্ষিতে ২২ জন রিট আবেদনকারী সহ ২৪ জন নৌ কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল (৩৫ তম সভায়) জামুকা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫ তম সভার ৭ এপ্রিল ২০১৬ সংশ্লিষ্ট ওই সিদ্ধান্তটি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।