চাঁদার দাবিতে জেলার উজিরপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র সোহাগ সেরনিয়াবাতকে হত্যার সাত বছর পর মামলার দুই আসামির ফাঁসি এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। একই মামলায় অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামিরা হলো-উজিরপুরের সন্ত্রাসী “দাদা বাহিনী”র প্রধান জিয়াউল হক লালন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রিয়াদ সরদার। যাবজ্জীবন কারাদন্ড হওয়া আসামিরা হলো-মামুন, ইমরান, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী এটিএম আনিসুর রহমান বলেন, নিহত সোহাগ উজিরপুর পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এলাকায় তার একটি পোশাকের দোকান ছিলো। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে আসামিরা উজিরপুরের রাখালতলা এলাকায় সোহাগকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে বিভিন্ন সময় সোহাগের কাছে আসামিরা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ার সোহাগের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মামা খোরশেদ আলম বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন। মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ৩১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ, প্রমাণ ও আলামত বিবেচনায় বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের বাবা ফারুক হোসেন সেরনিয়াবাত ও মা শাহনাজ পারভীন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।