নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার স্টেশন রোডে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হওয়ায় ঘটনায় ২৪ জুলাই থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে শংকর চৌহান রেলের জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজ করে আসছে। পরবর্তীতে মোঃ তাহের আলী ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন শংকর চৌহানের কাছ থেকে মাঝ খানের চার শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে বাসা নির্মাণ ও সামনে হোটেল খোলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
সম্প্রতি শংকর চৌহানের ছেলেরা তাদের লিজকৃত জমির আগাছা পরিস্কার করার জন্য কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়। এতে তাহের আলীর হোটেল ও বাসায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তাহের আলী জলাবদ্ধতা দূর করতে শংকর চৌহানের ছেলেদেরকে কালভার্টের মুখ খুলে দিতে বলায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়।
এরই জের ধরে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে প্রথমে রেল লাইনে পরে হোটেলের সামনে দু’দফা মারামারির ঘটনা ঘটে।
এতে যতন চৌহান (৩৫), তার স্ত্রী সঞ্জিতা চৌহান (২৮), স্বপন চৌহান (৪২), রিপন চৌহান (২৮), শিক্ষার্থী মনি চৌহান (১৭), শিক্ষার্থী জনি চৌহান (১৫), অপর পক্ষের তাহের আলী (৫৫), তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৮), ছেলে শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম (২৬), শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম (২২) শিক্ষার্থী তাহ্মিনা আক্তার মুক্তা (২০) ও শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার (১৮) আহত হয়। গুরুতর আহত স্বপন চৌহান ও তাহের আলীকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় যতন চৌহান বাদী হয়ে তাহের ও তার চার সন্তানকে বিবাদী করে পূর্বধলা থানায় একটি লিতি অভিযোগ দায়ের করে। অপরদিকে ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে রিপন চৌহান, যতন চৌহান, স্বপন চৌহানসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করে পূর্বধলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন-এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখানে দুদফা মারামারির ঘটনা ঘটেছে, প্রথমটি রেল লাইনের উপরে দ্বিতীয়টি হোটেলের সামনে।
তিনি বলেন, পূর্বধলা থানার আওতায় দ্বিতীয় ঘটনা ঘটায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। প্রথমটি রেল লাইনের উপর ঘটায় যতন চৌহানকে রেলওয়ে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।