২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের ১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিয়ে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর সবশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে রোহিত-কোহলিদের বিধ্বস্ত করে ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে দিয়েছিল অজিরা। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ ছিল ভারতীয় দর্শকরা।
এর মাঝেই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে বসে ভারত। চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে অজিদের মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত শর্মার দল। যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে বাড়ির পথ দেখিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে অপরাজিত থেকে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে আকাশী-নীলরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে ভারত। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন শুভমান গিল। অপর প্রান্ত থেকে রোহিত দুইটি ক্যাচ তুললেও তালুবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় অজিরা। জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
তবে শ্রেয়াস আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বিরাট কোহলি। ৬২ বলে ৪৫ রান করে আইয়ার আউট হলেও ৫৩ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। ৩০ বলে ২৭ রান করে অক্ষর প্যাটেল আউট হলেও সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান কোহলি।
তবে ১৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে এই কিংবদন্তি ব্যাটারকে। ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় দল। এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৪ বলে ২৮ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।শেষ পর্যন্ত জাদেজার ২ রান এবং লোকেশ রাহুলের ৩৪ বলের অপরাজিত ৪২ রানে ভর করে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান ইলিস ও অ্যাডাম জাম্পা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও বেন ডারশুইস ও কোপার কোনোলি নেন একটি করে উইকেট।এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৯ শূন্য রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন শর্টের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া কোপার।
এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ট্রাভিস হেড। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি এই মারকুটে ব্যাটার। ৩৩ বলে ৩৯ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। তিনতে ব্যাট করতে নেমে লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক স্মিথ।
ইনিংস বড় করতে পারেনি লাবুশেনও। ৩৬ বলে ২৯ রান করে জাদেজার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এতে ১১০ রানে ৩ উইকেট হারায় অজিরা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি জস ইংলিশও। ১২ বলে ১১ রান করেন তিনি।
তবে অপর প্রান্ত থেকে ৬৮ বলে ফিফটি তুলে নেন স্মিথ। তবে সেঞ্চুরির কাছে যেতে পারেননি তিনি। ৯৬ বলে ৭৩ রান করে বোল্ড আউট হন অজি অধিনায়ক। ৫ বলে ৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এতে ৭ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোই রানের গতি কমে যায় অস্ট্রেলিয়ার।
কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি। ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। কিন্তু ৪৮তম ওভারে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রান আউট হলে আবারও ছন্দ হারায় অজিরা। ৫৭ বলে ৬১ রান করেন তিনি। শেষ দিকে বেন ডারশুইস (৭), নাথান ইলস (১০) এবং ৭ রান করে অ্যাডম জাম্পা আউট হলে ৩ বল হাতে থাকতে ২৬৪ রানে অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।