লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ: নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ৩১শে আগস্ট ২০২২ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ: নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ

বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন এসএম ইলিয়াস হাওলাদার নামে এক আইনজীবী।


মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা থেকে ডাকযোগে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর নোটিশটি পাঠান। নোটিশদাতা ইলিয়াস সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার শাখারী পাড়ার বাসিন্দা।


নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দৈনিক এক ঘণ্টা করে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং দিচ্ছে। এতে পৌরসভার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পৌর এলাকায় অন্তত ১০টি হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকাররি অফিস রয়েছে। সেগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।



এ অবস্থায় অনতিবিলম্বে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লোডশেডিং দিতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় সরকারি প্রজ্ঞাপন অগ্রাহ্য করার কারণে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান আইনজীবী ইলিয়াস হাওলাদার।


অ্যাডভোকেট এএসএম ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনায় এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের নিয়ম থাকলেও লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে বিপিডিবি লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। দিনের নির্দিষ্ট সময়ের তালিকা অনুযায়ী লোডশেডিং দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা লোডশেডিংয়ের কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। ফলে বাসিন্দারা জানতে পারছেন না- কখন কোন এলাকায় লোডশেডিং হবে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।



তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুসারে লোডশেডিং না দিলে আমি নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।



লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পৌর এলাকায় বিপিডিবির আওতাধীন আবাসিক এবং বাণিজ্যিক মিলিয়ে প্রায় ৩৭ হাজার বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।


বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মোহাম্মদ শামিম ফরহাদ জানান, চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। দিনের বেলা ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও তারা সাত মেগাওয়াট পাচ্ছেন। রাতে ১৪ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।


অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে আইনজীবীর দেওয়া লিগ্যাল নোটিশের বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।