পিরোজপুরের কাউখালী শহর সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর নতুন করে ত্রিমোহনা ভাঙনের মুখে পড়েছে। সন্ধ্যা নদীর ত্রিমোহনা বাজারের ভাঙন ঠেকাতে সম্প্রতি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। ওই জিও ব্যাগ গত একবছরে সন্ধ্যার গ্রাসে চলে গেলে নতুন করে সেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ফলে কাউখালী-আমরাজুড়ী-স্বরূপকাঠি সড়কের ফেরীঘাট ও সড়ক হুমকীর মুখে পড়েছে। সম্প্রতি পাউবো ভাঙন দায়সারাভাবে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠোকানো উদ্যোগ নেয়। তবে ত্রিমোহনার ভাঙন ঠেকানোর জিও ব্যাগ সন্ধ্যার নদীতে ধসে যায়। এতে আমরাজুড়ী ফেরিঘাট এলাকা ও সড়ক নতুন করে ভাঙনের মুখে পড়েছে।
ফরীঘাট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী আনোয়ার হোসেন, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ফলে আরো অনেক দোকান, বাড়িঘর, রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবার পথে। নদী ভাঙনের কারনে ফেরিঘাট স্থানান্তর করতে হয়েছে। এই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা যাতায়াত করে থাকেন।
আমরাজুড়ী ফেরীঘাট বাজার কমিটির সভাপতি কায়েস হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দায়সারা জিও ব্যাগ ফেলে ত্রিমোহনা এ ভাপঙন ঠেকানো সম্ভব না। জিও ব্যাগ নদী ¯্রােতে ধসে গিয়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, স্থায়ী বাধ নির্মাণের দ্রুত কার্যকর কোন পদক্ষেপ না না নিলে আমরাজুড়ী বাজার ও ফেরিঘাট এলাকার ব্যাবস্ প্রতিষ্ঠান ও মানুষের বসতি সন্ধ্যা গ্রাস করবে।
এছাড়া আমরাজুড়ী ইউনিয়নের কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু জানান, জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। জিও ব্যাগ নদী গর্ভে চলে যাওয়ার বর্তমানে মসজিদসহ প্রায় ৩০/৩৫টি দোকান ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙন রোধে কার্যকর বাধ ও ব্লক স্থাপনের পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহোদয় এবং পাউবো কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।