"বর্ষায় কাঁদা পানি খরায় ধূলো বালি এর নাম বাংলাহিলি" দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কসহ রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। একটু বৃষ্টিতে সড়কের উপরে পানি জমে থাকে। আবার খরায় ধূলো বালির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সোমবার ( ২৯ আগস্ট) হিলি বন্দরের সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে বন্দর গেট, চারমাথা মোড় থেকে দক্ষিণে মহিলা কলেজ উত্তরে সিপি থেকে ধরন্দা ফকিরপাড়ার পাকা কার্পেটিং সড়কের বেহাল দশা। সড়কগুলো ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা। আর এই কারণে দুর্ঘটনায় পড়ছে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এসব সড়কের মধ্যে হিলি চারমাথা থেকে দক্ষিণে মহিলা কলেজের সড়কটির অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।
হঠাৎ করে গত দুই দিনের সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটির ছোট বড় গর্তে জমে রয়েছে পানি।
পাথর বোঝাই ট্রাকচালক আফজাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। এখানকার সড়কের এমন বেহাল দশা ভাবতে পারি না। দেশের বিভিন্ন সড়কে যাতায়াত করেছি, এমন বিপজ্জনক সড়ক কম দেখতে পাই। হিলি বন্দরের সড়ক এতো খারাপ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
দিনাজপুর-হিলি সড়কের বাসচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনে দুই বার আসা-যাওয়া করতে হয় হিলিতে। কিন্তু হিলির যে রাস্তা, তাতে টেনশনেই থাকতে হয়। ৩০ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। খানাখন্দে ভরা স্থানগুলো পার হতে ভয় লাগে।
ইজিবাইক চালক জুয়েল রানা বলেন, প্রতিদিন হিলি থেকে বিরামপুরে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করি। তিন চাকার গাড়ি আমার একটু উঁচু নিচু হলেই উল্টে যায়।যাত্রীদের নিয়ে অনেক আতঙ্কে চলাচল করতে হয়।
রিকশাচালক এমদাদ হোসেন বলেন, হারা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে রিকশা চালাই। এই আস্তা (রাস্তা) দিয়ে হামাক সব সময় লোক নিয়ে যাবা (যেতে) নাগে (হয়)। আস্তার (রাস্তার) যে অবস্থা কখন যে কি হয়? সবসময় আতংকে থাকতে থাকি।
কয়েকজন পথচারী বলেন, এই সড়কের যে অবস্থা, তাতে চলাফেরা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিলিতে একটি স্থলবন্দর রয়েছে। সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে অথচ রাস্তার কোনো উন্নয়ন নেই।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের এসডিই কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দরে উন্নতমানের সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে সড়ক নির্মাণে একটু দেরি হচ্ছে। আপাতত সড়কগুলোর খানাখন্দ ভরাটের কাজ করা হবে। দুই একদিনের মধ্যেই কাজটি শুরু হবে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনসুরুল আজিজ বলেন, বর্ষায় জেলার যেসব সড়ক নষ্ট হয়েছে সেসব সড়ক সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।