আশাশুনিতে টানা বর্ষণে মৎস্য ঘেরসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩০শে জুলাই ২০২১ ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে টানা বর্ষণে মৎস্য ঘেরসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

আশাশুনি উপজেলায়  একটানা বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধানের বীজতলা, মৎস্য ঘেরসহ সকল ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। জলমগ্নতার কারনে অনেক স্থানে পয়ঃ নিস্কাশন নিয়ে সংঘর্ষ, বাদ প্রতিবাদ ও জটলার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।



একটানা প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। যেখানে একটানা ২/৫ দিন সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে বৃষ্টির পানির ধারন ক্ষমতা উপজেলার বিলখালগুলোর নেই, দ্রুত পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থাও নষ্ট হয়ে গেছে। 



সেখানে মুষলধারায় বৃষ্টিপাত এবং কয়েক দিনের ব্যবধানে পুনরায় বৃষ্টিপাতের ঘটনায় পুরো উপজেলার নিন্মাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আমন ধানের বীজতলা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। 



সাথে সাথে অসংখ্য চিংড়ী চাষের মৎস্য ঘের পানির চাপে একাকার হয়ে গেছে। মৎস্য চাষীরা ঘেরে চিড়া ফেলে বা অন্য উপায়ে মাছ ধরে রাখার সবশেষ চেষ্টা করে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদিএই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে বীজতলা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাবে। মৎস্য ঘেরের অবস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।



 এছাড়া নিন্মাঞ্চলের ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা পানিতে ভাসছে। কাচা ঘরবাড়ি জলমগ্ন হওয়ায় ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য সেট জলমগ্ন হওয়ায় কষ্টকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। 



বিভিন্ন গ্রামে পানি নিস্কাশনের নালা, খাল ও কালভার্ট আটকে দেওয়ায় পারিবারিক পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এনিয়ে অনেক স্থানে গোলযোগ ও অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। 



এছাড়া জলমহল নীতিমালা লংঘন করে জলমহাল ও নদীখালে আড়াআড়ি বাঁধ ও নেট পাটা দিয়ে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টির ঘটনা আশাশুনিতে নতুন নয়। 



বুধহাটা ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি খাল, বেউলার খাল, কুল্যা ইউনিয়নের কাদাকাটি বাজার সংলগ্ন হাড়িয়া খাল, বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের চেউটিয়া খাল, তেঁতুলিয়ার জালাই খাল, তেঁতুলিয়া স্লুইস গেট সংলগ্ন খাল, 



শোভনালী ইউনিয়নের বদরতলা খাল, খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া খাল, বামনডাঙ্গা খাল, তুয়ারডাঙ্গা খালসহ সকল ইউনিয়নে অসংখ্য খাল ও নদীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। 




এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের জরুরী কার্যক্রম গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগি এলাকাবাসী।