বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের চরজানপুর এলাকার শত শত একর খাস জমি দখল করে রেখেছে (রফিক চৌকিদার ) রফিক লাঠিয়াল। নোয়াখালীর রায়পুরের মফিজ চৌকিদারের ছেলে এই রফিক। চরজানপুরে তার নিজস্ব কোনো জমি নেই অথচ তার দখলে রয়েছে শত শত একর খাস জমি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গিয়েছে, সময় এবং সুযোগ বুঝে রফিক লাঠিয়াল ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের হয়ে জমি দখলের কাজ করে থাকে। রফিক লাঠিয়ালের চেহারা আর শরীরের গঠন দেখে বুঝার উপায় নেই যে সে কতটা ভয়ংকর। ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নামের মধ্যে, মৃত রকমান চোকদার, খায়ের মৃধা, লতিফ হাওলাদার, কালাম মেলকার, রিপন খান সহ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা।
এই চরজানপুরে শেখ সাহেব কৃষি খামারবাড়ি নামে একটি কৃষি ভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের স্বত্বাধিকারী শেখ জালাল আহাম্মেদ জানান, উক্ত মৌজায় তার পৈত্রিক সূত্রে রেকর্ডিয়, ক্রয় সূত্রে এবং বেশকিছু জমি লিজ নিয়ে প্রকল্পটি গড়ে তুলেছেন। প্রকল্পটিতে জমি চাষাবাদ এবং বসবাসের জন্য ভূমিহীন আটটি পরিবারকে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই জমিও দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে রফিক লাঠিয়াল গং। এ ব্যাপারে হিজলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করা হয়েছে।
রফিক লাঠিয়ালের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, এই চরে তার কোনো জমি নেই। খায়ের মৃধা, কালাম মেলকার, লতিফ হাওলাদার সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা তাকে তাদের জমি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
অভিযুক্ত লতিফ হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগে তার দখলে এই জমি ছিলো এখন নেই। রিপন খান জানান, তিনি ক্রয় সূত্রে জমির মালিক এর বাহিরে অন্য কোনো জমি তার দখলে নেই। খায়ের মৃধা মোবাইল রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দিলে এ রকম বহু রফিক লাঠিয়ালকে চিহ্নিত করা যাবে। আর উদ্ধার হবে হাজার হাজার একর খাস সম্পত্তি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।