প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৭:৪৬
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন পরমাণু আলোচনা শুরুর ঠিক আগে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মূলত সেই আলোচনাকে নস্যাৎ করার একটি ষড়যন্ত্র। ইস্তানবুলে এক কূটনৈতিক সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বক্তব্যে এরদোগান বলেন, ইসরায়েল সরাসরি ডাকাতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ছড়াতে চায়।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৩ জুনের ওই হামলার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল ইরানকে আন্তর্জাতিক মহলের চোখে হেয় করা এবং আলোচনার যে প্রক্রিয়া এগোচ্ছিল, তা ধ্বংস করা। এরদোগানের ভাষায়, নেতানিয়াহুর সরকার এই অঞ্চলে শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের কার্যকলাপ পুরো অঞ্চলকেই হুমকির মুখে ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের এই আগ্রাসন কেবল ইরান নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি হুমকি। আন্তর্জাতিক পরিসরে এই ধরণের হামলা বরদাশত করা যায় না এবং একে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো উচিত।
একইসময়ে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তুরস্কে পৌঁছান কূটনৈতিক আলোচনার অংশ হিসেবে। তিনি ইস্তানবুলে আরব ও মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, এসব বৈঠকে ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে এবং তেহরানের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
আরাঘচি বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং এটি জায়নিস্ট ভাবধারারই একটি ধারাবাহিক বহিঃপ্রকাশ। এই হামলার পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ, শক্তির প্রভাব এবং মুসলিম বিশ্বকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, ইরানের প্রস্তাব অনুযায়ী এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি সম্মিলিত অবস্থান গঠনের চেষ্টা চলছে যাতে ভবিষ্যতে ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের আওতায় আনা যায়।
জায়নবাদ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তাসনিম জানিয়েছে, ইরান এই মতবাদকে বিশ্ব শান্তির অন্তরায় হিসেবে দেখছে। জায়নবাদ হচ্ছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সম্প্রসারণবাদী নীতির পক্ষে একটি চরমপন্থী রাজনৈতিক চিন্তাধারা।