২০১৭ সালে কাতার অবরোধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশটিতে হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন সৌদি বাদশা সালমান। কিন্তু সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত একটি ম্যাগাজিনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কাতার। দেশটি বলেছে, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোই প্রমাণ করে কাতারে হামলার আহ্বানের খবর সত্য।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কাতারের সৌদিবিরোধী অবস্থান রিয়াদের কাছে এতটাই অসহ্যকর হয়ে দাঁড়ায় যে তারা কাতারে হামলা চালানোর জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছিল। গত ৬ আগস্ট মার্কিন সাময়িকী ফরেন পলিসির নিবন্ধে এ কথা ফাঁস করে দেয়া হয় যে রিয়াদ, মানামা, কায়রো ও আবুধাবি ২০১৭ সালে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করার পর সৌদি রাজা সেসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোন করে কাতারের ওপর সামরিক হামলা চালানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প সে প্রস্তাবে রাজি হননি।
এক নিবন্ধে খ্যাতনামা বিশ্লেষক সাইমন হ্যান্ডারসন বলেছেন, সৌদি ও কাতারের মধ্যকার উত্তেজনার একটি বড় কারণ ইরানের সাথে কাতারের ঘনিষ্ঠতা এবং এ দুই দেশই সৌদি নীতির তীব্র বিরোধী। ইরানের ব্যাপারে কাতারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আরব দেশগুলোর জোটের মাধ্যমে ইরানভীতি ছড়ানোর সৌদি চেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়ে গেছে।
২০১৭ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে আরব ও বেশ কিছু মুসলিম দেশের সম্মেলনের পর ইরান বিরোধিতার মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এর কিছুদিন পর ইরানবিরোধী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে সৌদি। এর প্রতিক্রিয়ায় কাতারের শেইখ তামিম বিন হামদ আলে সানি ইরানকে আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন ইরানের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ভালো সম্পর্ক আছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।