যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত পৌনে তিন লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৫০ জনের। সম্প্রতি সময়ে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ কমতির দিকে যাওয়ায় একে একে স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বাস্থ্যবিধির উপর কড়াকড়ি অবস্থা আরোপ করে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশদের। খবর স্কাই নিউজের।
জানা গেছে, ব্রিটেনে নতুন করোনাভাইরাস নির্দেশনায় ফেসমাস্ক পরিধান বাধ্যতামূূলক করা হতে পারে। কেননা, ব্রিটিশ সরকার মনে করছে এখনই উপযুক্ত সময় কঠোরভাবে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করার। বরিস জনসন শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি সেখানে দোকানদারদের সঙ্গে দেখা করে, তাদের খোঁজ খবর নেন। এসময় তাকে মাস্ক পরতে দেখা গেছে। তিনি এদিন নিজে মাস্ক ব্যবহার করে নাগরিকদেরও তা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেন।
তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে ব্রিটিশদের অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। অফিসের ডেস্কগুলো আর শূন্য রাখার সুযোগ নেই। ব্রিটিশ অর্থনীতিকে বাঁচাতে চাইলে নাগরিকদের ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজে নামতেই হবে।’ ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, আগামী সপ্তাহে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্রিটিশ কৌশল পরিবর্তন বিষয়ে বক্তব্য দেবেন জনসন।
এদিকে, অবকাশ যাপনের অনুষঙ্গগুলো আবারো চালু করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেনের সরকার। এ অনুমতির ফলে সুইমিংপুল, জিম, নেইল বার ও ট্যাটু আঁকিয়েদের দরজা খুলে যাচ্ছে এবং ক্রিকেটের মাধ্যমে দলগত খেলাগুলোও আবার শুরু হবে। কনসার্টের মতো আউটডোর পারফরম্যান্সগুলোও সীমিত শ্রোতাদের নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে টানা কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর যুক্তরাজ্যে এগুলো চলতি মাসেই চালু করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কর্মস্থলেই গিয়ে কাজ করতে। যতদূর সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসতে।’ নিয়ম মেনে রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য শপ ব্যবহারের কথা বলেছেন তিনি। এর মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে ব্রিটেনের রেস্তোরাঁ ও পাবগুলোতে ভিন্নচিত্র দেখা যাচ্ছে।
ব্রিটেনে যখন সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার পথে তখন সে দেশেরই পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে ভিন্ন কথা। বলা হচ্ছে, যতজনের দেহে নতুন করোনাভাইরাসে অস্তিত্ব ধরা পড়েছে, তার ৭৮ শতাংশেরই নমুনা পরীক্ষার সময় কোনো উপসর্গ ছিল না। যার অর্থ উপসর্গহীন এমন অনেক থাকতে পারে, যারা ভাইরাস সংক্রমিত হলেও অসুস্থ না হওয়ায় নমুনা পরীক্ষা না করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে রয়েছেন। এতে অশনাক্ত এই ব্যক্তিরা আবার রোগ বহনের ঝুঁকিও তৈরি করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।