সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেলক্ষেত্রে হামলার রেশ শেষ হতে না হতেই আবারও সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। গত শনিবার অ্যারামকো তেল কোম্পানির আবকাইক ও খুরাইশ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এতে ওই দুই তেলক্ষেত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার পর দেশটির তেল ও গ্যাস উৎপাদন শতকরা ৫০ ভাগ কমে গেছে। সৌদিতে তেল উৎপাদন প্রতিদিন ৫৭ লাখ ব্যারেল কম উত্তোলন করা হচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি ওই এলাকায় বিদেশিদের প্রবেশ না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কারণ সেখানে হুথি বিদ্রোহীরা আবারও হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি বলেন, হুথি বিদ্রোহীরা ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালিয়েছে। তিনি সৌদি আরবকে তাদের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করতে এবং ইয়েমেনে আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে সৌদির দুই তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনায় তেল উৎপাদন কমে যাওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই দুই তেলক্ষেত্রে হামলার কারণে প্রতিদিনের তেল উৎপাদন কমেছে ৫০ লাখ ব্যারেল। এটা সৌদির তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ৫ শতাংশ। কতদিনের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবার প্রথম কেনাবেচার সময় তেলের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ২৮ বছরে সবচেয়ে বেশি।
এর আগে গত শনিবার হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ঘোষণা দেন যে, অ্যারামকোর দুটি তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে হুথি গ্রুপ। ওই মুখপাত্র বলেন, সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলী আবকাইক এবং খুরাইস এলাকায় দশটি ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সৌদিকে এটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, আমাদের পরবর্তী অভিযান হবে আরও বিস্তৃত এবং আরও বেশি বেদনাদায়ক। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার পেছনে তেহরানের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অ্যারামকোর দুই তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।