মার্কিন কংগ্রেসে আরাকানকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৮শে জুন ২০১৯ ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
মার্কিন কংগ্রেসে আরাকানকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। চুক্তির ২ বছর মেয়াদেও কোন রোহিঙ্গাকে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবাসন করানো যায়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বার্মার যেমন সদিচ্ছা নেই, তেমনি নাগরিক অধিকার বঞ্চিত থেকে স্বদেশে ফিরতে  নারাজ রোহিঙ্গারা। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে দ্বিপাক্ষিক নীতির উপর গুরুত্বারোপ করতে ভোক্তভূগি বাংলাদেশেকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে চীন ও ভারত। ফলে বাংলাদেশও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে অন্ধকার ভবিষ্যত দেখছে। রাতারাতি রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান যে হচ্ছেনা তা দিবালোকের মত সত্য।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান ব্রাড শেরম্যান রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে এমন একটি প্রস্তাব এনেছেন যা রীতিমত আলোচনার তুঙ্গে ওঠেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বাজেটবিষয়ক শুনানিতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বার্মার আরাকান রাজ্যকে দেশটি থেকে আলাদা করে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করা হোক। ব্রাড শেরম্যান কর্তৃক রোহিঙ্গাদের জন্য মানচিত্রট বদলে দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে তিনি যুক্তি দেখান যে, সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যুক্তরাষ্ট্র যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে বার্মার আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কেন একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না?

তিনি সুদানের উদাহরণ টেনে আরো বলেন, সুদান তাদের নাগরিকদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেনি। কিন্তু বার্মা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করছে, তাদের পাসপোর্ট দেওয়া হয় না এবং অন্যান্য অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত। বার্মায় একটি গণহত্যাও সংঘটিত হয়েছে । তিনি জোরালো প্রস্তাব রেখে বলেন,  বার্মা যদি আরাকানের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে যে দেশ তাদের দায়িত্ব নিয়েছে, সেই বাংলাদেশের সঙ্গে আরাকানকে জুড়ে দেওয়াই  যৌক্তিক পদক্ষেপ।

এদিকে শেরম্যানের এমন বক্তব্যকে হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেস নেতারা সমর্থন বা নাকচ করেছে কিনা জানা যায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মত যে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আলোচিত প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকটে যেমন জটিলতা বাড়াতে পারে, তেমনই তা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বার্মাকে বাধ্যও করতে পারে। এ ধরনের প্রস্তাব বার্মার ওপর চাপ বাড়াবে তাতে সন্দেহ নেই। সূত্র ঃ আরাকান টিভি

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব