ইরাকে অবস্থিত বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলায় ৩৪ মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। হামলার প্রায় ২০দিন পর এমনটি স্বীকার করেছে পেন্টাগন। এ বিষয়ে মার্কিন সামরিক মন্ত্রণালয় বলছে, ঐ হামলায় মস্তিষ্কে আঘাতজনিত অসুস্থতা নিয়ে ৩৪ জন মার্কিন সেনাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন সেনার চিকিৎসা চলছে। খবর পার্স টুডে’র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জানুয়ারির ঐ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দাবি করেছিলেন, কোনো মার্কিন সেনা আহত হয়নি। পরে ১১ মার্কিন সেনা মস্তিষ্কে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে পেন্টাগন স্বীকার করার পর ট্রাম্প আবার দাবি করেন, এসব সেনার খানিকটা ‘মাথাব্যথা’ করছিল বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমেরিকার দাবি অনুযায়ী, আহত সেনার সংখ্যা ১১ থেকে এক লাফে তিনগুণেরও বেশি হওয়ার পর পর্যবেক্ষকরা এখন ঐ হামলায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে ইরানের ঘোষণাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন।
ইরান ৮ জানুয়ারি ভোরে ঐ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর বলেছিল, তাদের হামলায় ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও অপর ২০০ জন আহত হয়েছে। আহত সেনাদেরকে চিকিৎসা দিতে সি ১৩০ বিমানে করে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র একজন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোর রাতে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ ইরান ও ইরাকের ১০ সেনা কমান্ডারকে হত্যা করে আমেরিকা। এর প্রতিশোধ হিসেবে ৮ জানুয়ারি আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।