পার্শ্ববর্তী কয়েক দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনার পরে সমগ্র ভারতজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেন’স নেক’-এর নিরাপত্তা পুনর্মূল্যায়নে শনিবার (২২ নভেম্বর) শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শিলিগুড়ি কার্যালয়ে আয়োজিত এই বৈঠক ‘স্টেট সাবসিডিয়ারি মাল্টি এজেন্সি সেন্টার’ (SMAC) বৈঠক নামে পরিচিত।
বৈঠকে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিএসএফ, সিআইএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি, আর্মি ইন্টেলিজেন্স, মিলিটারি পুলিশ, রাজ্য গোয়েন্দা শাখা, রেল পুলিশ, আরপিএফসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় যোগ দেন।
সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী স্পর্শকাতর এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি করিডরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক, রেলসেতু, রেলস্টেশনসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে ভারত–বাংলাদেশ ও ভারত–নেপাল সীমান্তে কঠোর তদারকি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিদের তথ্যসংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর বিষয়েও জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রতিটি সংস্থা তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। করিডরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজরদারি আরও বাড়ানো জরুরি— এ বিষয়ে সবার মত এক।”
দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গিযোগের তত্ত্ব উঠায় CISF বাগডোগরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে RPF-GRP বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে। রাজধানী এক্সপ্রেস, বন্দেভারতসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সীমান্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারিও বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে।