শার্ট ডাউনে পর্যটন বিপর্যয়: কুয়াকাটা সৈকতে নেই পর্যটকের ভিড়
আনোয়ার হোসেন আনু, থানা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৬
শেয়ার করুনঃ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ঘোষিত শার্ট ডাউন কর্মসূচির প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখন অস্বাভাবিক নীরব ও জনশূন্য। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকতে ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ বালুচরজুড়ে মাত্র ৫০–৬০ জন মানুষ উপস্থিত, যাদের বেশিরভাগই ক্যামেরাম্যান বা স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী। সাধারণ সময়ের মতো পর্যটকের ভিড়, বীচের ছাতা-বেঞ্চে বসা কিংবা ভ্রমণপিয়াসীদের কোলাহল—কোনোটিই নেই।
সড়কপথে যাত্রী সংকট ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কুয়াকাটা থেকে কোনো দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যায়নি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ এবং শার্ট ডাউনের কারণে বরিশাল–কুয়াকাটা মহাসড়কেও গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের লোকসান বেড়েছে কয়েকগুণ।
কুয়াকাটা সৈকতের ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী আবু ছালেহ জানান, “সকাল থেকে এখন পর্যন্ত একশো টাকাও আয় হয়নি। সৈকত একেবারেই ফাঁকা। বসে বসে সময় কাটানো ছাড়া উপায় নেই।”
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল যুব পান্থ নিবাসে ৭৭টি কক্ষের মধ্যে দু’একটি ছাড়া সবই খালি। একই পরিস্থিতি কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস, ওশান ভিউ কনভেনশন সেন্টারসহ অন্যান্য বড় হোটেল-মোটেলেও। রিসোর্টের সহকারী ব্যবস্থাপক আল আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, “শার্ট ডাউনের ঘোষণায় সব বুকিং বাতিল হয়েছে। এখন পুরো রিসোর্ট খালি পড়ে আছে।”

হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ জানান, “রাজনৈতিক অস্থিরতা, শার্ট ডাউন কর্মসূচি এবং সড়ক নিরাপত্তার কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক নেই বললেই চলে। মৌসুম শুরু হলেও কোনো সাড়া আমরা পাচ্ছি না। পর্যটন খাত আর্থিকভাবে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে।”
এভাবে চলতে থাকলে স্থানীয় পর্যটননির্ভর অর্থনীতি বড় সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

সর্বশেষ সংবাদ















