প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১
গাজামুখী সামুদ ফ্লোটিলা আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলকে অবিলম্বে দায়িত্ব নিতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, লন্ডন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্রিটিশ নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রেখেছে।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ ফরেইন অফিস জানায়, এই সংকট যেন নিরাপদে সমাধান হয় তা ইসরায়েলকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ অব্যাহত রাখতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, যাতে জাতিসংঘ ও এনজিওগুলো খাদ্য, ওষুধ এবং জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারে।
ইসরায়েল সরকারের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, চলমান সংকটে গাজার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের দায়িত্ব ইসরায়েলের, এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা জরুরি।
এর আগে গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা সংগঠন অভিযোগ করে জানায়, ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের বহরকে থামিয়ে দিয়েছে এবং আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনায় মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের আটক করা হয়।
ফ্লোটিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র গাজার মানুষের কাছে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া। তবে ইসরায়েল শুরু থেকেই এই বহরকে সন্দেহের চোখে দেখছে এবং হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ করছে, যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
মানবিক সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, গাজায় অন্তত ২২ লাখ মানুষ খাদ্য ও ওষুধের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি তুরস্কও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দেওয়া মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। তারা ইসরায়েলের এই আচরণকে আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ফ্লোটিলা আটকানোর ঘটনাটি শুধু মানবিক সংকটকেই গভীরতর করছে না, বরং নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনারও জন্ম দিচ্ছে। বিশ্ব শক্তিগুলো এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।