প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৭
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ আর নেই। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় নিজ বাসস্থানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই সংবাদ সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া নিশ্চিত করেছে।
শায়খ আব্দুল আজিজের জানাজা আজ আছরের নামাজের পর রিয়াদ শহরের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সৌদি বাদশাহ সালমানের নির্দেশে হারাম ও নববী মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে গায়েবানা জানাজার নামাজ আদায় করা হবে।
মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মৃত ব্যক্তির পরিবার, সৌদি জনগণ এবং পুরো ইসলামিক বিশ্বের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শায়খ আব্দুল আজিজ ১৯৯৯ সালে সৌদি আরবের প্রধান মুফতি পদে নিযুক্ত হন। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক এবং আইনি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া প্রদান করতেন। তার ফতোয়া সৌদি আরবের আদালত ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
শায়খ আব্দুল আজিজ ১৯৮১ সাল থেকে ৩৫ বছর ধরে বার্ষিক হজের খুতবা দিয়েছেন। ২০১৬ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অবসর গ্রহণ করেন, তবে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় থাকেন।
স্থানীয় মুসলিম সমাজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রদায় শায়খ আব্দুল আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তার অবদান ইসলামী আইন ও সমাজে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শায়খ আব্দুল আজিজের মৃত্যু সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থান সৃষ্টি করবে। তার ধারাবাহিকতা এবং কড়া ধর্মীয় নীতি অনেককে প্রভাবিত করেছে।
সৌদি আরবের সরকার এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শায়খের মৃত্যুতে যথাযথ মর্যাদা প্রদানের মাধ্যমে তার অবদানের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তার দীর্ঘ সময়ের হজ খুতবা এবং ধর্মীয় সিদ্ধান্তগুলো মুসলিম সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শায়খ আব্দুল আজিজের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহলে তার অবদানকে স্মরণ করে বিভিন্ন বার্তা ও শোকপ্রকাশ করা হচ্ছে। তার জীবন ও কর্মকাণ্ড ইসলামী আইন ও সমাজের উন্নয়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।