প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৬
যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর পশ্চিম তীর নিয়ে ফের সরব হয়েছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি নেতারা। রোববার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ পৃথক বিবৃতিতে পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের দাবি জানান।
বেন গভির তার বিবৃতিতে বলেন, এই স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি দাবি করেন, পশ্চিম তীরের ওপর দ্রুত সার্বভৌমত্ব আরোপ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি উচ্ছেদ করতে হবে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রস্তাব তিনি পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করবেন।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশের দ্বারা ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দিন শেষ। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর এই পদক্ষেপের একমাত্র জবাব হলো পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকে স্থায়ীভাবে বাতিল করা।
স্মোত্রিচ আরও উল্লেখ করেন, এখন প্রধানমন্ত্রীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার মতে, সময় এসেছে ঐতিহাসিক ইহুদি মাতৃভূমির ওপর পূর্ণ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার। তিনি বিশ্বাস করেন এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে একেবারেই কবর দেবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রোববার জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি। তবে অল্প কথায় তিনি বেশ হুঁশিয়ারিমূলক মন্তব্য করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, আমরা জুডিয়া ও সামারিয়ায় ইহুদি বসতি দ্বিগুণ করেছি এবং এই পথেই এগিয়ে যাব। তিনি আরও জানান, আমাদের ভূমির কেন্দ্রে জোর করে এক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সর্বশেষ প্রচেষ্টার জবাব তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর দেবেন।
ইসরায়েলি ডানপন্থি নেতাদের এসব বিবৃতি নতুন করে ফিলিস্তিন ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক নতুন এক টানাপোড়েনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠলে শান্তি প্রক্রিয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমে যাবে।