প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা জোরদার হয়েছে, যার ফলে গাজা শহরের সাবরা এলাকায় অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতরা 모두 একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। রোববার ভোরে চালানো এই হামলায় একাধিক বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখনও প্রায় ৫০ জন মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা থাকতে পারেন।
স্থানীয় উদ্ধারকারীরা এবং সাধারণ মানুষ খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বেঁচে থাকা মানুষদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এখনও আত্মীয়স্বজনের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। পরিবারগুলো জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা যতবারই চেষ্টা করছেন, ইসরায়েলি ড্রোন গুলির লক্ষ্যবস্তু হয়ে পড়ছেন। পাঁচজন এগোলে চারজন নিহত হন, একজন কোনো রকমে বেঁচে যাচ্ছেন।
গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবির, দক্ষিণ-পশ্চিমে তাল আল-হাওয়া এলাকা এবং নাসর জেলায় ল্যাভাল টাওয়ারের পাশের বাড়িতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এই অঞ্চলে ধ্বংসের চিত্র ভয়াবহ, বহু মানুষ আতঙ্কে বসবাস করছে। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরও একটি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে চার শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত ৬৫ হাজার ২৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজারের বেশি। এছাড়া অনাহার ও দুর্ভিক্ষের কারণে এখনও পর্যন্ত ৪৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৪৭ শিশু।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকর্মীরা ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে কঠোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, তবে হামলা এবং নিরাপত্তার অভাবে কার্যক্রম প্রায়ই ব্যাহত হচ্ছে। আহতদের জন্য মেডিকেল সহায়তা পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের বিমান হামলা এবং ধ্বংসযজ্ঞে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে এবং মানবিক সংকট আরও বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো আতঙ্কিত এবং শোকাহত। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া মানুষদের জন্য তাদের চিৎকার ও কান্না মানবিক সংকটের গভীরতা প্রতিফলিত করছে। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করছে এবং শান্তির সম্ভাবনা সংকুচিত হচ্ছে।