প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২০
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এই তিনটি দেশ পর্যায়ক্রমে এ ঘোষণা দেয়। কানাডা প্রথম স্বীকৃতি ঘোষণা করে, এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং সবশেষে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, শান্তি এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধান পুনর্জীবিত করতে আজ থেকে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তিনি এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানান, কানাডা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং একইসঙ্গে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির শান্তি প্রক্রিয়ায় সমর্থন জোরদার করেছে। তিন দেশের যৌথ পদক্ষেপ বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রেরণ করছে যে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থনযোগ্য।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তি নিশ্চিত না করে, তবে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে। এই ঘোষণার ফলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের ভিত্তি তৈরি হয়।
ইসরায়েলি সরকার, বন্দিদের পরিবার এবং কিছু কনজারভেটিভ নেতা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করবে এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বাড়াবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এটি আন্তর্জাতিক আলোচনার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনকে শক্তিশালী অবস্থানে আনবে এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন গতিশীলতা আনতে পারে।
এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি প্রসারের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে। একই সঙ্গে এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব সমাধানের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।