চীনের জন্য ‘হুমকি’ আমেরিকাও—স্বীকার করলেন ট্রাম্প

চীনের সঙ্গে দীর্ঘ বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান চাইলেও দেশটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রও সমানভাবে ‘হুমকি’—এমন স্বীকারোক্তি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “আমরা যেমন চীনের দিকে নজর রাখি, তারাও আমাদের দিকে রাখে। এটা একেবারেই প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়া।”

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেন, দুই দেশের মধ্যকার নজরদারি, তথ্য সংগ্রহ ও কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা পরস্পরই চালু রয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, শুধু মুখোমুখি অবস্থান নয়, বরং দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে বৈশ্বিক স্থিতি আরও শক্তিশালী হতে পারে।

এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অভিযোগ তুলেছে যে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশে অনুপ্রবেশ করে সাইবার হুমকি তৈরি করছে। পাশাপাশি তারা মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ও মেধাস্বত্ব চুরির চেষ্টা করছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভৌগোলিক কূটনীতি থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত দিকেও প্রতিযোগিতা রয়েছে। বিশেষ করে বিরল খনিজ সম্পদ (Rare Earth Elements) নিয়ে চীনের শক্তিশালী অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এসব উপাদান যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার প্রযুক্তি ও অস্ত্র তৈরিতে অপরিহার্য।

ট্রাম্প দাবি করেন, তার নেতৃত্বে এই শক্তির পাল্টা জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিমানযন্ত্রাংশ সরবরাহে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল, যা চীনের বিমান শিল্পকে চাপের মুখে ফেলেছিল। তবে তিনি স্বীকার করেন, উভয় পক্ষই কখনো কখনো “অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া” দেখিয়েছে।

তিনি শেষ পর্যন্ত জোর দেন, বিরোধ নয়, সহযোগিতাই ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান।

সূত্র: সিবিএস নিউজ