প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৮:৪৩
ইসরাইল ও ইরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ইসরাইল এখন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং তাদের আরও সংযত হওয়া উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি হওয়ার পরপরই ইসরাইলের কার্যকলাপ তাকে হতাশ করেছে এবং এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাম্প জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ প্রত্যক্ষ করেছেন যা তার মোটেও পছন্দ হয়নি। তার মতে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরাইলের উচিত ছিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ রাখা। তিনি বলেন, ইসরাইল ইরানে হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যা অপ্রত্যাশিত এবং ভুল সিদ্ধান্ত। সেইসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন যে উভয় দেশই একে অপরকে উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলছে।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, ইসরাইল যদি চুক্তির শর্ত মানত, তাহলে আস্থা এবং স্থিতিশীলতা আরও জোরদার হতো। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং কোনো পক্ষ আর হামলা চালাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ইসরাইল ও ইরান দুই পক্ষই এতদিন ধরে সংঘাতে লিপ্ত যে তারা নিজেরাই জানে না আসলে কী চায়। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার একটি শক্ত বার্তা ছিল, যেখানে তিনি উভয় দেশকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তবে তার সবচেয়ে স্পষ্ট বার্তা ছিল, ইরান কখনোই পরমাণু সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না, এবং এ বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান বরাবরই কঠোর থাকবে। ট্রাম্প বলেন, তিনি পরিস্থিতি শান্ত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং যুদ্ধ এড়ানোর পক্ষে অবস্থান নেবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অবস্থান নয়, বরং ইসরাইলকে সরাসরি বার্তা যে অযথা আগ্রাসন বরদাশত করা হবে না। তার এমন স্পষ্ট অবস্থান নতুন করে ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা তৈরি করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে এখন দেখার বিষয়, ইসরাইল ও ইরান ভবিষ্যতে কী ধরনের কৌশল গ্রহণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্র এতে কী ভূমিকা রাখে।