প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ২১:৫৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে বোমা হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান। তিনি বলেন, এই হামলা ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং এটি একটি “সামরিক সাফল্য”।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে এবং হামলার সময় ব্যবহৃত সব বিমান নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে চলে গেছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রধান জানান, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বাংকার-বাস্টার বোমা এবং সাবমেরিন থেকে ছোঁড়া টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র।
ফোরদো ও নাতানজে ব্যবহৃত হয়েছে ১৪টি জিবিইউ-৫৭ এমওপি বোমা, যার প্রতিটি প্রায় ১৩ হাজার কেজি ওজনের। ইসফাহানে হামলা হয়েছে সাবমেরিন থেকে ছোঁড়া দুই ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে মোট ৭৫টি বোমা নিক্ষেপ করে ১২৫টি বিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ হামলার পর কোনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি, ফলে প্রশ্ন উঠছে— ইউরেনিয়াম কোথায় গেল?
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে থাকে, তবে বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়ামের কোনো প্রমাণ নেই, যা ওয়াশিংটনকে কৌশলগতভাবে চাপে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান হয়তো আগেই ইউরেনিয়াম স্থানান্তর করেছে অথবা এ হামলা অতটা কার্যকর হয়নি।
ফলে ইরান এখন আরও আগ্রাসী অবস্থানে যেতে পারে। এরই মধ্যে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পুনরায় হামলা হলে মার্কিন স্বার্থে পাল্টা আঘাত আসবে। হুতি গোষ্ঠীও লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এই পরিস্থিতিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করলেও বাস্তবতা এখন ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি কীভাবে মোড় নেয়, সেটিই এখন বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।