প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১১:৩৯
ইরান আবারও ইসরায়েলের দিকে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সোমবার সকালে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ এর আওতায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২১ দফায় পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নতুন একটি ধাপ। মেহের নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইরানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েল কোনো প্ররোচনা বা উসকানি ছাড়াই হামলা চালানোর ফলে তারা বাধ্য হয় প্রতিশোধ নিতে। এই প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইরান ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক শিল্প স্থাপনাগুলোর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান আরও জোরদার করা হবে যাতে ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা সীমিত করা যায়। তারা তাদের প্রতিরক্ষা ও হামলার কার্যক্রমে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় তেহরানের পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি এবং আবাসিক এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই হামলায় ৪০০ এর বেশি ইরানি নাগরিক প্রাণ হারান, যার মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষও রয়েছে।
ইরান ওই হামলার পরপরই পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ এর আওতায় এখন পর্যন্ত ২১ দফায় ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে ইরান তাদের সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা শক্তি প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত যে কোনও সময় আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তারা এই সংঘাত অবিলম্বে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংঘাতের পেছনে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতবিরোধের পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জটিলতা কাজ করছে। যার প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতেও প্রতিফলিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা পাল্টা হামলার মাধ্যমে সংঘাত আরও গভীর হচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ জরুরি বলে তারা মনে করছেন।
মেটা কি-ওয়ার্ড: