প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৮
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কোনো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি বরং তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করা। সোমবার বার্তাসংস্থা আনাদোলু প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানে মার্কিন হামলা সরাসরি যুদ্ধ নয়, বরং কৌশলগত অভিযান। এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, “আমরা যুদ্ধ করছি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে।”
ভ্যান্সের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী সম্প্রতি ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান-এ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে, যার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে পেছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তার মতে, মাত্র একদিনেই ইরান অনেকটাই পিছিয়ে গেছে তাদের কর্মসূচির অগ্রগতিতে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তবে শর্ত হলো—ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের পথে হাঁটবে না। কূটনৈতিক আলোচনার দরজা এখনো খোলা রয়েছে, তবে ইরান কখনোই আন্তরিকভাবে আলোচনায় অংশ নেয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
এই প্রেক্ষাপটে ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করে জানান যে, তারা স্থলযুদ্ধ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে ইরানের সঙ্গে একটি টেকসই সমাধান খুঁজছে যা ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। বিশ্বব্যাপী তেলের পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই পথ বন্ধ করা হলে তা বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা আনতে পারে বলে আশঙ্কা। ভ্যান্স এই পদক্ষেপকে আত্মঘাতী বলে অভিহিত করেছেন।
গত ১৩ জুন ইসরায়েলের ইরানে হামলার মাধ্যমে এই উত্তেজনার সূচনা হয়। এরপর পাল্টা জবাবে ইরানও সামরিক হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রেক্ষিতে ইরান জাতিসংঘে অভিযোগ জানিয়ে বৈঠকের আবেদন করেছে।
সবশেষে ভ্যান্স হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ইরান পাল্টা হামলায় মার্কিন সেনাদের টার্গেট করে, তবে তা হবে ভয়াবহ ভুল এবং যুক্তরাষ্ট্র তখন পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রতিশোধ নেবে।