প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৬:১৩
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা থেকে ধারণা করা যায় যে, ইরান চাইলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুইবার বলছেন, গ্যাবার্ড ইরানের উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। ট্রাম্পের এই অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাবার্ডের বক্তব্য আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ইরান বহুবার জোর দিয়ে বলেছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। তেহরান কর্তৃপক্ষ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোন ইচ্ছা প্রকাশ করেনি এবং জাতিসংঘের পারমাণবিক তদারকির আওতায় রয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই দাবি মানতে রাজি নন এবং ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
গত মার্চ মাসে একটি সিনেট কমিটির শুনানিতে তুলসি গ্যাবার্ড মিডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তখন তিনি বলেছিলেন, মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন না যে, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। গ্যাবার্ডের এই বক্তব্য অনেকের কাছে সমর্থন পেয়েছিল, কারণ তার দৃষ্টিভঙ্গি পারমাণবিক বিরোধী নীতি ও কূটনীতির পরিবর্তনের আহ্বান জানায়।
মার্কিন রাজনৈতিক মহলে গ্যাবার্ডের এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত আছে। ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চান, যেখানে গ্যাবার্ড ও তার সমর্থকরা কূটনৈতিক সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। ইরানীয় পারমাণবিক সক্ষমতার প্রশ্নে এ ধরণের মতবিরোধ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে জটিল করে তুলেছে।
বর্তমানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা ও উদ্বেগের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে তার প্রতিশ্রুতি পূরণে উৎসাহিত করছে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের এ বক্তব্য আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে, যা ভবিষ্যতে কূটনৈতিক উদ্যোগ ও নিরাপত্তা নীতিতে প্রভাব ফেলবে।