প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১১:৩১
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ইরান থেকে ছোড়া এক তরঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। বিয়েরশেভা শহরসহ আশপাশের এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়ায়। সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে তৎপর করা হয় এবং তারা এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা চালায় বলে জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, সকালেই বিয়েরশেভা শহরে সাইরেন বাজতে শুরু করে। এই শহরটি ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর একটি, যেখানে এমন সতর্কতা আগে থেকেও দেখা গেছে। তবে এবার তা আরও তীব্র ও সংকটজনক ছিল বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। সেনাবাহিনীর টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে দেশের একাধিক স্থানে সতর্কতা জারি করা হয়।
অন্যদিকে, কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, বিয়েরশেভা শহরের একটি ভবনে সরাসরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। যদিও হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে ঘটনাস্থলে ইসরাইলি জরুরি পরিষেবা এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী পৌঁছেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটেছে।
এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা এবং হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এই আক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বড় ধরনের সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনাকে উসকে দিতে পারে।
বিয়েরশেভা শহরে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ঘটনাটি ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আগাম সতর্ক বার্তা এবং প্রতিরক্ষা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মানুষজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের সতর্ক ও নিরাপদ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গোটা অঞ্চলে নতুন করে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের নজর এখন আবারও মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। বিশ্ববাসী অপেক্ষায় রয়েছে যে, এই উত্তেজনা সাময়িক থাকবে, না কি বড় পরিসরের সংঘর্ষে রূপ নেবে।