প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৫:৮
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইরানের সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজ এবং ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে দেওয়া এই বার্তাটি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বার্তায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “ডোনাল্ড ট্রাম্প! আপনি যদি না জানেন আমরা কারা, তাহলে কারবালার ইতিহাস পড়ে দেখুন।” এই বার্তার মাধ্যমে ইরান নিজেদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় আত্মত্যাগ এবং প্রতিরোধের দৃঢ়তা তুলে ধরেছে।
কারবালার উদাহরণ টেনে দেওয়া এই মন্তব্যকে বিশ্লেষকরা দেখছেন ইরানের প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে। এটি মূলত ইসলামি প্রেক্ষাপটে ইরানের আত্মত্যাগ এবং সম্মানের প্রতীক, যা ট্রাম্পের হুমকির জবাবে কৌশলীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও শান্ত থাকেননি। তিনি তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ইরানিদের তেহরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) তিনি বলেন, “সবারই অবিলম্বে তেহরান ছেড়ে যাওয়া উচিত!” তবে তিনি এই সতর্কবার্তার পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “ইরানকে যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছিলাম তাতে স্বাক্ষর করা উচিত ছিল। কী লজ্জাজনক এবং মানব জীবনের অপচয়! আমি বারবার বলেছি – ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরই ইরান মিলিটারি এবং ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান তাদের বার্তা প্রকাশ করে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্ক আরও জটিল রূপ নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ইসরাইলি হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর চিফস অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।
ইসরাইলি হামলায় নিহত হন ইরানের ছয় জন শীর্ষস্থানীয় পারমাণবিক বিজ্ঞানীও।