প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:২৮
ইসরায়েলের ওপর ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় ব্যবহার হয়েছে নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার নাম ‘কাসেম বাসির’। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের সাবেক কুদস বাহিনী প্রধান কাসেম সোলাইমানির নামে নামকরণ করা হয়েছে। রোববার রাতভর চালানো হামলায় ডজনখানেক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং একশর বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন ব্যক্তি, যাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১২০০ কিলোমিটার এবং এটি কঠিন জ্বালানিভিত্তিক, যা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এর বিশেষ নেভিগেশন সিস্টেম এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে অত্যন্ত মারাত্মক করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হাইপারসনিক গতিসম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দিয়ে আটকানো সম্ভব নয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে ইরান তার সামরিক সক্ষমতা এবং আত্মনির্ভর প্রযুক্তির শক্তি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। ইরানের মতে, তাদের হামলার লক্ষ্য শুধু সামরিক ঘাঁটি, তবে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।
বিশ্ব সামরিক শক্তির তালিকায় ইরান বর্তমানে ১৪তম স্থানে। দেশটির কাছে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় সেনা সদস্য, প্রায় ২ হাজার ট্যাংক, ৫৫১টি যুদ্ধবিমান এবং ৭টি সাবমেরিনসহ শক্তিশালী নৌবহর রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের অস্ত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ইরান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপ উপেক্ষা করে নিজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে আরেক ধাপে এগিয়ে নিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো, পশ্চিমা বিশ্ব এই চ্যালেঞ্জের জবাবে কী পদক্ষেপ নেবে।