প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ২০:২৮
গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে প্রথমবারের মতো কঠোর বার্তা দিল ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান স্পষ্ট হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বৃহস্পতিবার প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় আর সহ্য করা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে করে ইসরায়েলের ওপর রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়বে বলেই ধারণা।
আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে ফ্রান্স। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। এ সিদ্ধান্ত শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, গোটা বিশ্ব রাজনীতিতে বড় একটি বার্তা হয়ে উঠতে পারে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজায় উগ্রপন্থী ইসরায়েলি সরকার পূর্বপরিকল্পিত গণহত্যা চালাচ্ছে। তার এ মন্তব্য গোটা সম্মেলন কক্ষে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। লুলা আরও বলেন, এই যুদ্ধ থামাতে শুধু বিবৃতি নয়, কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র নীরবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ফ্রান্স মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে নিজস্ব নীতিগত অবস্থান বজায় রাখবে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে সুনির্দিষ্ট অবস্থান নেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও ফিলিস্তিন প্রশ্নে বিভাজন আছে। তবে ফ্রান্স যদি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে আরও কিছু দেশ একই পথে হাঁটতে পারে এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন ভারসাম্য তৈরি হতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, ফ্রান্স ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় এবং তার প্রেক্ষিতে বিশ্ব রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসে।