প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:১২
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে নয়, টেলিফোনে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
কয়েকটি মিশনের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি ফোন পেয়ে অঞ্চলভিত্তিক কিছু রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে জানানো হয়, এরপর ওই দূতদের অন্য মিশনগুলোতে খবরটি পৌঁছে দিতে বলা হয়। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের কূটনীতিকরা একে অপরকে জানিয়ে বিষয়টি বাস্তবায়ন করছেন।
দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, সবাই এখনো এ ধরনের আনুষ্ঠানিক বার্তা পাননি। তবে বিদেশের দুটি মিশনের প্রধান স্বীকার করেছেন যে তারা সরকারের পক্ষ থেকে ছবি সরানোর নির্দেশনা পেয়েছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা অবশ্যই দেওয়া হয়েছে। তবে এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা দপ্তরীয় ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু দূতের মাধ্যমে টেলিফোনে খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং তারাই তদারকির দায়িত্ব পালন করছেন।
একজন কূটনীতিক বলেন, আমাদের অঞ্চলে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আছেন, তিনি সরাসরি না জানিয়ে পাশের একটি মিশনের একজন সহকর্মীর মাধ্যমে আমাদের নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে অনেক দূতাবাস বা কনস্যুলেটে খবরটি বিলম্বে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে কর্মরত আরেক কূটনীতিক জানান, তারা অনেক আগেই এই কাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর ভাষায়, কয়েক মাস আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, যা এখন সদর দপ্তরের নির্দেশনার সঙ্গে মিলে গেছে।
এই পুরো প্রক্রিয়া যে কিছুটা অস্বাভাবিক, তা একাধিক কূটনীতিক উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, সাধারণত এমন ধরনের নির্দেশনা আনুষ্ঠানিক নথির মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু এবার ভিন্নভাবে টেলিফোনে জানানোয় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরে যেমন পরিবর্তন আনা হয়েছে, বিদেশি মিশনগুলোতেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে।