ট্রাম্পের ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চীনের ওপর নতুন বাণিজ্য যুদ্ধ

হোয়াইট হাউসের নতুন প্রশাসনিক আদেশ অনুযায়ী, মার্কিন সরকার চীনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকি তদন্ত করবে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে, গত ২ এপ্রিল ঘোষণা করা পারস্পরিক শুল্কের বিশদ ব্যাখ্যা সন্নিবেশিত ছিল। হোয়াইট হাউস জানায়, চীনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ চীন কোনো আলোচনায় বসেনি এবং পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যা মার্কিন প্রশাসনের কাছে অগ্রহণযোগ্য ছিল।

এদিকে, প্রথমদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ছিল বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশের উপর। তবে, বেশ কয়েকটি দেশ শুল্কের বিরোধিতা জানিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যার ফলে তাদের জন্য এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু চীন একতরফা পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে, ফলে তাদের উপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য ৭৫টির বেশি দেশের উপর থেকে প্রাথমিক শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে, চীনের বাণিজ্য নীতির প্রতি মার্কিন প্রশাসনের অসন্তোষ এখনও চলছে, এবং এর ফলে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ছে।

এখন এই পরিস্থিতি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও একটি বড় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। আগামী দিনগুলোতে, এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলাফল বিশ্বের অর্থনীতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যে দেশগুলি এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকবে তাদের জন্য।