মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজারের অধিক প্রাণহানির আশঙ্কা

মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন এই ভূমিকম্পের প্রভাব মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, প্রধান ভূমিকম্পের পাশাপাশি ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্পও অনুভূত হয়েছে, যা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভূমিকম্পের পরপরই মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোসহ অন্তত ছয়টি শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সামরিক সরকার। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে ভূমিকম্পের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি, তবে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের কিছু ভবন কেঁপে ওঠে এবং মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে।

বিশ্বের বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি অত্যন্ত বিধ্বংসী ছিল এবং আরও আফটারশক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনা বিরল নয়। এর আগে ২০১৬ সালে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে এবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জরুরি সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

মিয়ানমারের ভূমিকম্প পরিস্থিতির আরও হালনাগাদ তথ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকা থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।