আশাশুনি উপজেলা সদরের ৯৭ নং দয়ারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চরম ধীরগতিতে এগোচ্ছে। পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় অনুমোদিত এই নির্মাণকাজের মেয়াদ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী জুন মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে, অস্থায়ী টিনশেড কক্ষে চলছে ক্লাস, যেখানে শিক্ষার্থীরা রৌদ্র, বৃষ্টি ও গরমে নাজেহাল।
২০২৩ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বেড় খোড়ার কাজ শুরু করেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেজের কাজ শুরু হলেও সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র তিনজন শ্রমিক কাজ করছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা পারভিন জানান, কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় কাজ কবে শেষ হবে, তা বলা কঠিন।
বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কক্ষগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। চারটি কক্ষের মধ্যে একটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কাপড় ও চাচের বেড়া দিয়ে তৈরি সংকীর্ণ কক্ষে আলো-বাতাসের অভাবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। ১৪০ জন শিক্ষার্থীর এই বিদ্যালয়টি এখন মৃতপ্রায়। মাঠে ভবন নির্মাণের সরঞ্জাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মাণের সামগ্রী জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের হাঁটাচলা ও খেলাধুলার কোনো সুযোগ নেই।
এলজিইডির আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য কুমার দেব জানান, কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে কাজের তৎপরতা ভালো এবং প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, কারণ প্রকল্পের মেয়াদও তখনই শেষ হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, অস্থায়ী কক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ না হলে শিক্ষার পরিবেশ আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।