কোভিড পরীক্ষার সনদ না আনায় এয়ারলাইন্সকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২১ ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
কোভিড পরীক্ষার সনদ না আনায় এয়ারলাইন্সকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা

গত ১৩ জানুয়ারি দুপুরে ইস্তাম্বুল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যে ফ্লাইটটি ঢাকা এসে পৌছায় সেখানে তিন জন যাত্রীর সাথে কোভিড পরীক্ষার কোন সনদ ছিল না। যাত্রীরা বাংলাদেশি, একই পরিবারের সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় পৌছান৷


ঐ তিন যাত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করার আগে একজন ডাক্তারের কাছ থেকে চেকআপ করিয়ে এই মর্মে সনদ নেন যে কোভিডের কোন লক্ষণ তাদের নেই। কিন্তু কোভিড সনাক্তকরণের জন্য নির্ধারিত পিসিআর টেস্ট তারা কেউ করাননি। 


টার্কিশ এয়ারলাইন্স জানতো যে পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া কোন যাত্রীকে ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে উঠালে ঐ ফ্লাইট ঢাকায় পৌছার পর জরিমানা গুনতে হবে৷ এটা জেনেই তারা ঐদিন ইস্তাম্বুলে ঢাকা যেতে ইচ্ছুক দশজন যাত্রীর সাথে কোভিড পরীক্ষার সনদ না থাকায় তাদের অফলোড করে দিয়েছিল বলে জানায়৷


এরপরেও চেকইনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবিশেষের ভুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করা তিন যাত্রী ঢাকায় চলে আসতে সমর্থ হন৷ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী আনায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। 


কোভিড পরীক্ষা না করিয়ে যে তিনজন যাত্রী ঢাকায় আসেন তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। লক্ষণীয় যে তারা সবাই শিক্ষিত সচেতন মানুষ৷ তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতেই চাকরি করেন বলে জানা যায়৷  কোভিডে যুক্তরাষ্ট্র কী অবস্থায় আছে তা তার অজানা নয়। অথচ সে দেশ থেকে নিজের দেশে আসার সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কোভিড টেস্ট করিয়ে আসবেন না, এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত৷ 


বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে আকাশযাত্রা শুরুর ৭২ ঘন্টা বা তারও কম সময় বাকি থাকতে নমুনা দিয়ে পিসিআর টেস্ট করিয়ে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে নিয়ে আসতে হবে৷ এ ব্যাপারে কোন ছাড় নেই৷ এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে এয়ারলাইন্স বিচারের মুখোমুখি হবে। আর যাত্রী যাবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।