সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ওমরাহ পালন করেছেন। সোমবার তিনি মক্কায় পৌঁছালে তাকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী মানব শিকল তৈরি করে তাকে নির্বিঘ্নে ওমরাহ পালনে সহায়তা করে। এছাড়া তিনি কাবা শরীফের ভেতরেও প্রবেশের সুযোগ পান।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আহমেদ আল-শারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন হায়াত তাহরির আল-শাম নামক ইসলামপন্থি দলকে। সম্প্রতি তিনি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর।
সফরের অংশ হিসেবে তিনি সৌদি আরবে পৌঁছালে দেশটির পক্ষ থেকে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি মক্কায় যান ও ওমরাহ পালন করেন। ওমরাহ পালনের সময় তার নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তার সফরকে কেন্দ্র করে সৌদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে তিনি নির্বিঘ্নে ওমরাহ পালন করতে পারেন। ওমরাহ শেষে তিনি বেশ কিছু সময় হারাম শরীফে কাটান এবং বিশেষ দোয়া করেন।
এদিকে, সৌদি সফর শেষ করে আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি তুরস্কে যাবেন। সেখানে তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, দুই নেতা সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল-শাম সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করছে। তারা আসাদের পতনের পর দেশটিতে নতুন শাসন কাঠামো গঠনের চেষ্টা করছে।
তার সৌদি সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। সৌদি আরব ও তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার নতুন সরকারের সম্পর্ক কেমন হবে, তা এই সফরের মাধ্যমে কিছুটা স্পষ্ট হতে পারে।
সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। দেশটির নতুন সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগ নিচ্ছে। আহমেদ আল-শারার বিদেশ সফর সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।