বিপিএল কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত ফিফটি উপহার দিলেন তাওহিদ হৃদয়। আসরে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ থাকলেও এই ম্যাচে জ্বলে উঠলেন তিনি। তার অসাধারণ ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল ফরচুন বরিশাল। ১৬ বল হাতে রেখেই চিটাগাংকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা।
মিরপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগাং ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন শামীম। তবে দলের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি চিটাগাং। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ২ বলে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।
১৫০ রানের লক্ষ্যে বরিশালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও হৃদয়। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৫৫ রান তুললে জয়ের ভিত পেয়ে যায় বরিশাল। তবে ২৬ বলে ২৯ রান করে তামিম ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে। এরপর ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ পেরিয়ে যান হৃদয়।
এদিন ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বড় ইনিংস খেলেন হৃদয়। ৫৬ বলে অপরাজিত ৮২ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে মালান ২২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাদের ৯৫ রানের জুটি সহজ জয় এনে দেয় বরিশালকে।
এর আগে চিটাগাংয়ের ইনিংসের প্রথম বলেই চার মারেন পাকিস্তানি ওপেনার খাজা নাফি। তবে পরের বলেই কাইল মেয়ার্সের দুর্দান্ত ইন সুইংয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ২ বলে ৪ রান করেই আউট হন তিনি।
তিন নম্বরে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক করেন মাত্র ৬ রান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। এরপর পারভেজ হোসেন ইমনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন শামীম। ৩৬ রান করে ইমন ফিরলে সেই জুটি ভাঙে।
দলের একমাত্র ভরসা ছিলেন শামীম। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৭৯ রান করে আউট হন। তবে তার ইনিংসও দলকে লড়াই করার মতো অবস্থানে নিতে পারেনি।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মদ আলি। তিনি একাই ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া কাইল মেয়ার্স ২টি উইকেট নেন। বল হাতে দাপট দেখিয়েই চিটাগাংকে চাপে ফেলে দেয় বরিশাল, যার সুফল তারা ব্যাটিংয়েও তুলে নেয় এবং ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।