ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - আইন আদালত
প্রকাশিত: সোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

ঢাকা মহানগরের সড়ক থেকে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে আইনগত পদ্ধতিতে আপিল করা হবে।


গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগরের সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের জন্য তিন দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। আদালত একই সঙ্গে জানতে চেয়েছে কেন বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। 


ঢাকার সড়কে অবৈধভাবে চলাচল করা প্রায় ৮ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে এই রুল জারি হয়। এসব রিকশা মূল সড়কে চলাচলের জন্য অনুমোদিত নয়, তবে সেগুলো নানা উপায়ে নিয়ম ভেঙে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তথ্য মতে, গত দু'মাসে পুলিশ প্রায় ১ লাখ রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু তাও চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। 


এর আগে ১৫ মে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণা দেয়। তবে আন্দোলনকারী রিকশাচালকদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে সরকারের সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিকশাগুলোকে মূল সড়ক ছাড়া অন্য জায়গায় চলাচলের অনুমতি দেন, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং মূল সড়কে চলে আসে। 


আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি করেছে, বর্তমানে রাজধানীজুড়ে ৮ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। গত সেপ্টেম্বরে ৫০ হাজার এবং অক্টোবর মাসে ৬৬ হাজার রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসব রিকশার ব্যাটারি জব্দ করে নিলামেও তোলার ব্যবস্থা করেছে। 


এদিকে, আদালতের নির্দেশনায় অটোরিকশা চালকরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে, তারা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিতে পারে। এতে করে রাজধানীর যান চলাচল ও পরিবহন সেবা আরও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 


রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন এবং আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে, আগামী দিনে ব্যাটারিচালিত রিকশার ভবিষ্যত ঢাকা মহানগরে কী হবে।