আশাশুনিতে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানিতে ছয়লাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শুক্রবার ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
আশাশুনিতে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানিতে ছয়লাপ

 অতিবৃষ্টি এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার পানির চাপে আশাশুনি উপজেলার কৃষকদের ফসলের ক্ষেত ছয়লাপ হয়ে গেছে। এপর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪৭৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ধানের ক্ষেত এবং ৮৫ হেক্টর জমিতে সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৯,৫৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। এছাড়া ৫৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। ফসলের ক্ষেত শুরুতে সুন্দর ও অনুকূল পরিবেশে ভরে উঠলেও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং নদী ভাঙনের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়।


কাদাকাটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ইউনিয়নে ৩৭০ হেক্টর জমির ধান নিমজ্জিত হয়েছে। বুধহাটা ইউনিয়নে ২০ হেক্টর, খাজরা ইউনিয়নে ৩৫ হেক্টর, দরগাহপুর ইউনিয়নে ৩৯ হেক্টর ও কুল্যা ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমির ধান ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এসব ক্ষেতে প্রায় ৫৭ হাজার মন বা ২,২৮০ মে.টন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।


অপরদিকে, আশাশুনি উপজেলার ৫৩০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে, কিন্তু বৃষ্টির পানির চাপে ইতিমধ্যে ৮৫ হেক্টর জমির সবজি বিনষ্ট হয়ে গেছে। দরগাহপুর ইউনিয়নে ৫ হেক্টর, খাজরা ইউনিয়নে ৫ হেক্টর, কাদাকাটি ইউনিয়নে ১৩ হেক্টর ও বুধহাটা ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, ক্ষতির শিকার কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহের প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় বলেন, পানি নিস্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে স্লুইচ গেটগুলো সচল করা হয়েছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। পানি কমার পর কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।