ইসরায়েল আজ রাতেই শক্তিশালী হামলার হুঁশিয়ারি দিল

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আজ রাতেই (বুধবার) মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (অক্টোবর) রাতে এই ঘোষণা দেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগেরি।

এক বিবৃতিতে হ্যাগেরি বলেন, "ইরান গুরুতর কাজ করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আজ রাতেই ইরান এ কর্মকাণ্ডের পরিণতি ভোগতে হবে।" তিনি ইরানের হামলার প্রভাব উল্লেখ করে বলেন, জনসাধারণের দায়িত্বশীল আচরণ এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্রিয়করণের কারণে তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দ্বারা ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এই হামলায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল সরকার।

ইরানের এই হামলার ফলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, "ইরান আজ রাতে বড় ভুল করেছে। এজন্য দেশটিকে চড়া মূল্য দিতে হবে।" নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে।

ইরানের রেভোলশনারি গার্ড দাবি করছে, সম্প্রতি হামাস, হেজবুল্লাহ এবং ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধস্বরূপ এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল হামলার জবাব দেয়, তাহলে তাদের পক্ষ থেকে আরও হামলা চালানো হবে।

এদিকে, ইরানের হামলার মধ্যেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাতের পরিস্থিতি গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।