প্রকাশ: ৫ মে ২০২৫, ২০:৫
চীন বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক হাসপাতাল চালু করে প্রযুক্তির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই হাসপাতালে কোনও মানব চিকিৎসক নেই, বরং কাজ করছেন ১৪ জন এআই চিকিৎসক যারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছেন।
৩ মে এই বিপ্লবাত্মক উদ্যোগের ঘোষণা আসে একটি টুইটের মাধ্যমে, যা সঙ্গে সঙ্গেই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি অঙ্গনে আলোড়ন তোলে। ইরানি সংবাদ সংস্থা মেহের ও টেকক্রাঞ্চসহ একাধিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই খবরটি নিশ্চিত করে।
এই হাসপাতাল এআই প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের একটি নমুনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণমূলক কাজ সম্পূর্ণরূপে এআই চিকিৎসকদের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের এই পদক্ষেপ কেবল স্বাস্থ্যসেবা নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ব্লকচেইন সংযুক্ত প্রযুক্তিগত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে এআই-ভিত্তিক ক্রিপ্টো টোকেন ও প্রযুক্তি বাজারে ইতোমধ্যেই এটির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এআই চিকিৎসকদের মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয়ের সুযোগ তৈরি হওয়ায় ভবিষ্যতের চিকিৎসা সেবার ধরণ পাল্টে যেতে পারে। একদিকে যেমন রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি সহজ হবে, অন্যদিকে তেমনি মানব চিকিৎসকদের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে।
তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কিছু সীমাবদ্ধতা ও নৈতিক প্রশ্নও সামনে এসেছে। রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা, সিদ্ধান্তে মানবিক বিবেচনা এবং ভুল বিশ্লেষণের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তবুও চীনের এই সাহসী পদক্ষেপ বৈশ্বিক প্রযুক্তি দুনিয়ায় এআইর ভূমিকা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। এটি অনেক দেশের জন্যই একটি অনুসরণযোগ্য মডেল হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এআই হাসপাতালের এই সূচনা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে, যা আরও উন্নত, দ্রুত এবং ব্যয়সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।