প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১২:৬
তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫’-এর সিজন-২ এর ফাইনাল রাউন্ড। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি-তে ২৪ মে শনিবার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়, যেখানে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাছাইকৃত ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ২৯০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী ও দক্ষ করে গড়ে তোলা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুণদের সমস্যা সমাধান, উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. [নাম উল্লেখযোগ্য], যিনি আইসিটির গুরুত্ব এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের বিভিন্ন এডভাইজার, জুরি বোর্ড সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা।
প্রতিযোগিতার শেষ ধাপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ অর্থ, ল্যাপটপ, ট্যাব, দেশ-বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ, মেডেল, ট্রফি এবং স্বাস্থ্যবীমাসহ নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার। একই সঙ্গে বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের জন্য প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং একটি জাতীয় মিশন যেখানে আমরা তরুণদের দক্ষতা বিকাশ ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি।
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান নিপু জানান, তরুণদের মাঝে যে সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
প্রোগ্রামের কো-কনভেনার গোলাম সারোয়ার বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার জন্য এখন থেকেই তরুণদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে, আর এই অলিম্পিয়াড সে পথেই একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।
আইসিটি বিষয়ক শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড, চিফ টেকনোলজি অফিসার মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে সারাদিনব্যাপী পরীক্ষা পরিচালনা করেন। তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং মঞ্চে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। একইসাথে উদ্বোধন করা হয় আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সিজন-৩।