মারাত্নক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য, ওষুধেও মরছে না ৮২টি জীবাণু

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩১ অপরাহ্ন
মারাত্নক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য, ওষুধেও মরছে না ৮২টি জীবাণু

বাংলাদেশ ৮২টি রোগের জীবাণু রেজিস্ট্যান্ট বা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে পরিণত হয়েছে। যা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করেও মারা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের ১৫০টি ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নিয়ে গবেষণা করে এ তথ্য বের করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য  সংস্থার সহযোগিতায় গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর)  রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গবেষণক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে  আয়োজিত সেমিনারে অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান এ তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, রেজিস্ট্যান্সির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে,  সিপ্রোফ্লক্সাসিন (২১ শতাংশ), অ্যামক্সিসিলিন (১৬.৫ শতাংশ),  অ্যাজিথ্রোমাইসিন (১৪ শতাংশ),  সেফালোস্ফোরিন (১৩.৩ শতাংশ), মেট্রোনিডাজল(১২.৮ শতাংশ), ফিনক্সি মিথাইল পেনিসিলিন (৯.৩ শতাংশ),  ক্লোক্সাসিলিন / ফ্লুক্লক্সাসিন(৬.৫ শতাংশ) ও অ্যাজল অ্যান্টিফাঙ্গাল (৫ শতাংশ)  এবং অন্যান্য (৫.৩ শতাংশ)। 

সেমিনারে আরোও জানানো হয়, বর্ত্তমান বিশ্বে সে কয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কার্যকারিতা হারানোর ঘটনাকে নীরব মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সাধারণ সংক্রামণজনিত রোগব্যাধির চিকিৎসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের অপারেশন, এমনকি ক্যান্সার চিকিৎসাও অনেকখানি সহজ ও হয়ে উঠেছিল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভবের ফলে এসব রোগের চিকিৎসা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যেমন, পশুপালন,মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজসহ বিভিন্ম খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার। এ মুহুর্তে পৃথিবীতে যে পরিমাণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহৃত হচ্ছে,  এর শতকারা ৭০ ভাগই মানুষ ছাড়া অন্যান্য খাতে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. মাহাবুবুর রহমানসহ বিশ্ব সংস্থা ও অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ইনিউজ ৭১/এম.আর