মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শুরু হয়েছে বসন্তের আগমন। শীতকাল বিদায়ের পথে, মাঘের শেষ দিকে ফাগুনের ছোঁয়া অনুভূত হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের আম বাগানগুলোতে ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে আমের মুকুল। গাছগুলোতে ফুটে উঠেছে সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুল, যা চারপাশে ছড়াচ্ছে মনকাড়া ঘ্রাণ। মুকুলের গন্ধ বাতাসে মিশে প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে তুলছে, আর গাছগুলোতে মৌমাছি ও পাখিরা ভীড় করছে।
শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের মুসলিমবাগ, সন্ধানী আবাসিক এলাকা, কালিঘাট রোড, সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা, সদর ইউনিয়ন, আশিদ্রোন ইউনিয়নের মোহাজেরাবাদসহ প্রায় ৯টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চল ও শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে আম গাছের মুকুল। চা বাগান এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি মুকুল এসেছে, যেখানে আম গাছের পরিচর্যা বিশেষভাবে হয়। নতুন আম জাতের গাছগুলোও এ বছর বেশী দেখা যাচ্ছে।
গত দুই সপ্তাহ থেকে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে এবং আবহাওয়া বিশেষভাবে সহায়ক থাকায় গাছগুলোতে মুকুলের সংখ্যা বাড়ছে। তবে, শীতকাল এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা কম ছিল, কিন্তু মাঘ মাসের শেষ পর্যায়ে তেমন মেঘ দেখা যায়নি। তাছাড়া, শিলাবৃষ্টি হলে মুকুলের ক্ষতি হতে পারে, তবে বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শ্রীমঙ্গলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার আম চাষীরা ইতোমধ্যেই গাছগুলোর পরিচর্যা শুরু করেছেন। আব্দুল জলিল এবং শিপন মিয়া জানাচ্ছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে আম গাছগুলোতে মুকুল এসেছে এবং তারা গাছের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলাউদ্দিনও আশা প্রকাশ করেছেন যে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে।
এছাড়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর গাছের পরিচর্যার জন্য সাইপারম্যাক্সিন ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে যাতে মুকুলের রোগবালাইয়ের আক্রমণ রোধ করা যায়। বিশেষভাবে হপার বা শোষকজাতীয় পোকা আক্রমণ প্রতিরোধ না করলে ফলন কমে যেতে পারে। তবে, প্রকৃতির সহায়তায় এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বাগান মালিকরা আশা করছেন এই মৌসুমে তারা আম থেকে লাভবান হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।